১. এ গ্রন্থের মধ্যে কুরআন মাজীদে আলোচিত বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত আয়াতসমূহ বিভিন্ন স্থান থেকে খুঁজে বের করে একত্রে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
২. আয়াতগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন একটি আয়াত অন্য একটি আয়াতের সম্পূরক এবং ব্যাখ্যা। এজন্য এ গ্রন্থের নাম দেয়া হয়েছেÑ ‘তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন’ অর্থাৎ কুরআন দিয়ে কুরআনের ব্যাখ্যা। কারণ, اَلْقُرْاٰنُ يُفَسِّرُ بَعْضُهٗ بَعْضًا- কুরআনের এক অংশ অন্য অংশের ব্যাখ্যা করে।
৩. এ তাফসীরটি পড়ে সকলেই এমনকি স্বল্পশিক্ষিত লোকেরাও বিভিন্ন বিষয়ে কুরআনের বক্তব্য কী তা সহজে জেনে নিতে পারবেন।
৪. কোন বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন আয়াত হতে যেসব মাসআলা বা পয়েন্ট বের হয় তা শিরোণাম আকারে লিখা হয়েছে এবং ঐ কথার দলীলস্বরূপ নিচে কুরআনের আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর আয়াতের সহজসরল বাংলা অনুবাদ দেয়া হয়েছে। সাথে সাথে এটা কোন্ সূরার কত নম্বর আয়াত তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
৫. আয়াত উল্লেখ করার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশটুকুই উল্লেখ করা হয়েছেÑ যাতে মুখস্থ করা ও দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা সহজ হয়।
৬. কুরআনের এমন অনেক আয়াত আছে যেগুলোর শানে নুযূল বা ব্যাখ্যা না জানলে আয়াতের মর্ম বুঝা যায় না। সেজন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শানে নুযূল ও ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
৭. অনেক ব্যাখ্যা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, এর মাধ্যমে পাঠক কুরআনকে বাস্তবতার নিরিখে গভীরভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন।
৮. সম্মানিত ইমাম, খতীব, বক্তা ও দাঈগণ কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় প্রথমে ঐ বিষয়ে কুরআনের বক্তব্য উপস্থাপন করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে এ তাফসীরটি সকলের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবেÑ ইনশা-আল্লাহ।
৯. কুরআন মাজীদ হেফ্জ করার সাথে সাথে এ তাফসীরটিও পড়লে হাফিজ হওয়ার পাশাপাশি কুরআনের বিধিবিধান সম্পর্কেও জানা যাবে।
১০. এ তাফসীরটি হাদীসের কিতাবের ন্যায় পর্ব ও অধ্যায় আকারে সাজানো হয়েছে। তাই পাঠক এ গ্রন্থের যে অধ্যায়টি পড়বেন সে অধ্যায়ের সাথে যে কোন হাদীস গ্রন্থের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়টিও মিলিয়ে পড়লে ঐ বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কুরআন মাজীদের তাফসীর করার পাঁচটি মূলনীতি রয়েছে। আর তা হলো :
(১) تَفْسِيْرُ الْقُرْاٰنِ بِالْقُرْاٰنِ – কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর করা :
কুরআনের এক অংশ অপর অংশের তাফসীর করে। কেননা কুরআনের একটি আয়াত অপর আয়াতের ব্যাখ্যাস্বরূপ। যে বিষয়টি কোন জায়গায় সংক্ষেপে বলা হয়েছে অন্য জায়গায় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
اَللهُ نَزَّلَ اَحْسَنَ الْحَدِيْثِ كِتَابًا مُّتَشَابِهًا “আল্লাহ সবচেয়ে সুন্দর বাণী কিতাব আকারে নাযিল করেছেন, যা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।”
(সূরা যুমার- ২৩)
(২) تَفْسِيْرُ الْقُرْاٰنِ بِالسُّنَّةِ – নবী ؓ এর হাদীসের মাধ্যমে কুরআনের তাফসীর করা :
রাসূল ؓ ছিলেন কুরআনের ব্যাখ্যাদাতা। কেননা তাঁর উপর কুরআন নাযিল হয়েছে এবং কোন্ আয়াত দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে তা আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন। নবী ؓ তাঁর জীবদ্দশায় কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা বুঝিয়ে দিতেন। বর্তমানে এর ব্যাখ্যা হলো হাদীস গ্রন্থসমূহ। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
وَاَنْزَلْنَاۤ اِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ اِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ “আমি তোমার প্রতি এ উপদেশবাণী নাযিল করেছি, যাতে মানুষের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তুমি তা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে পার এবং তারাও যেন চিন্তাভাবনা করে।” (সূরা নাহল- ৪৪)
(৩) تَفْسِيْرُ الْقُرْاٰنِ بِاَقْوَالِ الصَّحَابَةِ – সাহাবীগণের উক্তির মাধ্যমে কুরআনের তাফসীর করা :
কেননা তারা রাসূল ؓ এর ছাত্র ছিলেন এবং রাসূল ؓ এর ব্যাখ্যার আলোকেই তারা কুরআনের ব্যাখ্যা করেছেন।
(৪) تَفْسِيْرُ الْقُرْاٰنِ بِاَقْوَالِ التَّابِعِيْنَ – তাবেঈগণের উক্তির মাধ্যমে কুরআনের তাফসীর করা :
কারণ তারা সাহাবীগণের নিকট থেকে কুরআনের ব্যাখ্যা শিখেছেন। নবী ؓ বলেছেন,
خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِيْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ “মানুষের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম লোক হলো আমার যুগের লোক; অর্থাৎ সাহাবায়ে কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)। তারপর যারা তাদের পরে আসবে, তারপর তাদের পরে যারা আসবে।” অর্থাৎ যথাক্রমে তাবেঈন এবং তাবে তাবেঈনগণ (রাহিমাহুমুল্লাহ)।
(সহীহ বুখারী, হা/২৬৫২; সহীহ মুসলিম, হা/৬৬৩২)
(৫) تَفْسِيْرُ الْقُرْاٰنِ بِمَا تَقْتَضِيْهِ اللُّغَةُ الْعَرَبِيَّةُ – আরবি ভাষার চাহিদার আলোকে কুরআনের তাফসীর করা :
কেননা আল্লাহ তা‘আলা আরবি ভাষায় কুরআন নাযিল করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
اِنَّا جَعَلْنَاهُ قُرْاٰنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَ আমি এটা আরবি ভাষায় কুরআনরূপে (অবতীর্ণ) করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
(সূরা যুখরুফ- ৩)
পর্ব- ১ঃ- আল্লাহ তা‘আলার পরিচয়
অধ্যায়- ১ আল্লাহর গুণাবলি
অধ্যায়- ২ আল্লাহ একক সত্তা
অধ্যায়- ৩ আল্লাহর নাম ও গুণাবলি
অধ্যায়- ৪ আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা ও মহাপরিচালক
অধ্যায়- ৫ আল্লাহ রিযিকদাতা
অধ্যায়- ৬ আল্লাহ মহাজ্ঞানী
অধ্যায়- ৭ আল্লাহ ন্যায়বিচারক ও ইনসাফকারী
অধ্যায়- ৮ আল্লাহ অসীম দয়ালু ও অনুগ্রহশীল
অধ্যায়- ৯ আল্লাহ যাদেরকে ভালোবাসেন
অধ্যায়- ১০ আল্লাহ নিয়ামতদাতা
অধ্যায়- ১১ আল্লাহ সর্বশক্তিমান
অধ্যায়- ১২ আল্লাহর নিদর্শনাবলি
অধ্যায়- ১৩ কিছু নিদর্শনের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ
অধ্যায়- ১৪ আল্লাহর নিদর্শন বর্ণনা করার উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ১৫ আল্লাহর নিদর্শন থেকে যারা হেদায়াত পায়
অধ্যায়- ১৬ আল্লাহকে কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না
অধ্যায়- ১৭ আল্লাহর আইন ও বিধান মেনে চলা মানুষের দায়িত্ব
পর্ব- ২ঃ- ওহী
অধ্যায়- ১ ওহীর পরিচয়
অধ্যায়- ২ আসমানী কিতাব
অধ্যায়- ৩ কুরআনের পরিচয়
অধ্যায়- ৪ কুরআন নাযিলের সময়
অধ্যায়- ৫ কুরআন নিয়ে আগমনকারী ফেরেশতা
অধ্যায়- ৬ কুরআন নাযিলের সূচনা
অধ্যায়- ৭ আরবি ভাষায় কুরআন নাযিলের কারণ
অধ্যায়- ৮ কুরআন সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত
অধ্যায়- ৯ কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ১০ কুরআনের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই
অধ্যায়- ১১ কুরআনের সত্যতার ব্যাপারে আল্লাহর চ্যালেঞ্জ
অধ্যায়- ১২ কুরআন সম্পর্কে অবিশ্বাসীদের নানা মন্তব্য
অধ্যায়- ১৩ কুরআন সম্পর্কে নানা অভিযোগের জবাব
অধ্যায়- ১৪ কুরআন গ্রহণের ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী পার্থক্য
অধ্যায়- ১৫ কুরআনকে অস্বীকার করার পরিণাম
অধ্যায়- ১৬ কুরআনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
অধ্যায়- ১৭ জিনদের ওপর কুরআনের প্রভাব
অধ্যায়- ১৮ কুরআনের সার্বজনীনতা
অধ্যায়- ১৯ কুরআনের বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্ব
অধ্যায়- ২০ কুরআন হেদায়াত লাভের উৎস
অধ্যায়- ২১ কুরআনের বিধান সহজ
অধ্যায়- ২২ কুরআনের বিধান মানা বাধ্যতামূলক
অধ্যায়- ২৩ মানুষ কুরআন থেকে বিমুখ হয়ে আছে
অধ্যায়- ২৪ কুরআন থেকে বিমুখ হওয়ার পরিণতি
অধ্যায়- ২৫ কুরআন পড়ার গুরুত্ব ও নিয়ম
অধ্যায়- ২৬ কুরআন প্রচারের গুরুত্ব ও প্রচারকের গুণাবলি
অধ্যায়- ২৭ কুরআন প্রচারে বাধা দেয়ার পরিণাম
অধ্যায়- ২৮ কুরআনের বিধান না মানার পরিণাম
অধ্যায়- ২৯ কুরআন অনুযায়ী বিচার-ফায়াসালা না করার পরিণাম
পর্ব- ৩ঃ ঈমান
অধ্যায়- ১ ঈমানের গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ ঈমান আনার নির্দেশ
অধ্যায়- ৩ ঈমানের ঘোষণা
অধ্যায়- ৪ তাড়াতাড়ি ঈমান আনার তাগিদ
অধ্যায়- ৫ ঈমান না আনার পরিণাম
অধ্যায়- ৬ ঈমান আনার উপকারিতা
অধ্যায়- ৭ ঈমানের পরীক্ষা
অধ্যায়- ৮ ঈমানের দাবী
অধ্যায়- ৯ প্রকৃত মুমিনের পরিচয়
পর্ব- ৪ঃ- ইসলাম
অধ্যায়- ১ সর্বযুগের গ্রহণযোগ্য দ্বীন হলো ইসলাম
অধ্যায়- ২ ইসলামের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৩ ইসলামের পথই সঠিক ও সোজা পথ
অধ্যায়- ৪ ইসলামের পথে চলার উপকারিতা
অধ্যায়- ৫ পূর্ণাঙ্গরূপে ইসলামকে মানার নির্দেশ
অধ্যায়- ৬ ইসলামের পথে না চলার পরিণাম
পর্ব- ৫ঃ- তাওহীদ
অধ্যায়- ১ আল্লাহর কোন শরীক নেই অধ্যায়- ২ ইবাদাত পাওয়ার উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ
অধ্যায়- ৩ সকল নবীই তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন
অধ্যায়- ৪ তাওহীদের প্রমাণ
অধ্যায়- ৫ তাওহীদের দাবী
অধ্যায়- ৬ ইবাদাত
পর্ব- ৬ঃ- সালাত (নামায)
অধ্যায়- ১ সালাত সর্বকালীন ইবাদাত
অধ্যায়- ২ সালাতের গুরুত্ব ও মর্যাদা
অধ্যায়- ৩ সালাতের উপকারিতা
অধ্যায়- ৪ সালাতের বিধিবিধান
অধ্যায়- ৫ সালাতের সময়
অধ্যায়- ৬ মসজিদের বিবরণ
অধ্যায়- ৭ সিজদার বিবরণ
অধ্যায়- ৮ জুমু‘আর সালাতের বর্ণনা
অধ্যায়- ৯ তাহাজ্জুদ সালাতের বর্ণনা
অধ্যায়- ১০ কসর সালাতের বর্ণনা
অধ্যায়- ১১ মুনাফিকদের সালাত
অধ্যায়- ১২ সালাত ত্যাগ করার পরিণাম
পর্ব- ৭ঃ- যাকাত
অধ্যায়- ১ যাকাতের গুরুত্ব ও বিধান
অধ্যায়- ২ যাকাত আদায়ের উপকারিতা
অধ্যায়- ৩ যাকাত আদায় না করার পরিণতি
পর্ব- ৮ঃ- সাওম (রোযা)
অধ্যায়- ১ রোযার গুরুত্ব ও বিধান
অধ্যায়- ২ লাইলাতুল ক্বদর
পর্ব- ৯ঃ- হজ্জ
অধ্যায়- ১ কা‘বাঘরের ইতিহাস ও মর্যাদা
অধ্যায়- ২ হজ্জের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ৩ হজ্জের বিধিবিধান
অধ্যায়- ৪ ওমরার বিবরণ
পর্ব- ১০ঃ- কুরবানী
অধ্যায়- ১ কুরবানী ইবরাহীম (আঃ) এর সুন্নাত
অধ্যায়- ২ কুরবানীর উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ৩ কুরবানীর বিধিবিধান
পর্ব- ১১ঃ- হিজরত
অধ্যায়- ১ হিজরতের গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ হিজরতের ফযীলত ও উপকারিতা
অধ্যায়- ৩ আসহাবে কাহফের হিজরত.
পর্ব- ১২ঃ- জিহাদ
অধ্যায়- ১ জিহাদের গুরুত্ব ও ফযীলত
অধ্যায়- ২ জিহাদের উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ৩ যাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে
অধ্যায়- ৪ জিহাদ করতে হবে জান ও মাল দিয়ে
অধ্যায়- ৫ মুজাহিদদের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি
অধ্যায়- ৬ আল্লাহ মুজাহিদদেরকে সাহায্য করেন
অধ্যায়- ৭ আল্লাহর পথে শহীদদের মর্যাদা
অধ্যায়- ৮ যুদ্ধবন্দীদের বিধান
অধ্যায়- ৯ গনিমতের মাল বণ্টনের বিধান
অধ্যায়- ১০ যাদের ওপর জিহাদ ফরয নয়
অধ্যায়- ১১ জিহাদ না করার পরিণাম
পর্ব- ১৩ঃ- খিলাফত
অধ্যায়- ১ মানুষ আল্লাহর খলীফা
অধ্যায়- ২ ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার গুরুত্ব
অধ্যায়- ৩ ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায়- ৪ ইসলামী রাষ্ট্রের মূলনীতি
অধ্যায়- ৫ আল্লাহর আইনের বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৬ আল্লাহর আইন মানা জরুরি হওয়ার কারণ
অধ্যায়- ৭ ইসলামী সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য
অধ্যায়- ৮ ইসলামী শাসকদের জন্য জুলকারনাইনের দৃষ্টান্ত
অধ্যায়- ৯ আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় বাধা
অধ্যায়- ১০ যারা আল্লাহর আইন চালু করতে বাধা দেয়
পর্ব- ১৪ঃ- মুসলিমদের জামা‘আত
অধ্যায়- ১ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ যেসব দলে যোগ দেয়া যাবে না
অধ্যায়- ৩ মুসলিম জামা‘আতের নেতার বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৪ মুসলিম জামা‘আতের সদস্যদের গুণাবলি
অধ্যায়- ৫ সাহাবায়ে কেরামের গুণাবলি
অধ্যায়- ৬ মুসলিম জামা‘আতের কর্মীদের জন্য সান্ত্বনা
পর্ব- ১৫ঃ- দাওয়াত
অধ্যায়- ১ ইসলাম প্রচারের গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ
অধ্যায়- ৩ প্রচার কাজের নিয়ম ও প্রচারকের গুণাবলি
অধ্যায়- ৪ শ্রোতাদের অবস্থা
অধ্যায়- ৫ প্রচারকের বিরোধিতা করার পরিণাম
অধ্যায়- ৬ প্রচারকদের জন্য সান্ত্বনা
পর্ব- ১৬ঃ- হেদায়াত
অধ্যায়- ১ হেদায়াতের মালিক হলেন আল্লাহ
অধ্যায়- ২ আল্লাহ যাদেরকে হেদায়াত করেন
অধ্যায়- ৩ আল্লাহ যাদেরকে হেদায়াত করেন না
অধ্যায়- ৪ হেদায়াতপ্রাপ্ত লোকের লক্ষণসমূহ
অধ্যায়- ৫ অন্ধ অনুসরণ জায়েয নেই
পর্ব- ১৭ঃ- আলিমগণের মর্যাদা ও কর্তব্য
অধ্যায়- ১ আলিমগণের মর্যাদা
অধ্যায়- ২ আলিমগণের দায়িত্ব
অধ্যায়- ৩ ওহীর জ্ঞান গোপন রাখা যাবে না
পর্ব- ১৮ঃ- অর্থনীতি
অধ্যায়- ১ সম্পদ ব্যবহারের নিয়মাবলি
অধ্যায়- ২ হালাল উপার্জনের গুরুত্ব
অধ্যায়- ৩ অসৎ পন্থায় উপার্জন করা হারাম
অধ্যায়- ৪ ব্যবসা-বাণিজ্য
অধ্যায়- ৫ সঠিকভাবে ওজন করা
অধ্যায়- ৬ ঋণ
পর্ব- ১৯ঃ- পারিবারিক জীবন
অধ্যায়- ১ বিবাহের গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ হারাম মহিলা
অধ্যায়- ৩ হালাল মহিলা
অধ্যায়- ৪ পাত্র-পাত্রী নির্বাচন
অধ্যায়- ৫ বিয়ের বিধিবিধান
অধ্যায়- ৬ মোহরানা আদায়ের গুরুত্ব
অধ্যায়- ৭ স্বামীর দায়িত্ব
অধ্যায়- ৮ স্ত্রীর দায়িত্ব
অধ্যায়- ৯ পারিবারিক ঝগড়াবিবাদ মীমাংসা করার নিয়ম
অধ্যায়- ১০ তালাকের বিধান
অধ্যায়- ১১ খোলা করার বিধান
অধ্যায়- ১২ ঈলার বিধান
অধ্যায়- ১৩ লেয়ানের বিধান
অধ্যায়- ১৪ জেহারের বিধান
অধ্যায়- ১৫ ইদ্দতের বিধান
অধ্যায়- ১৬ সন্তান প্রতিপালন
অধ্যায়- ১৭ পালক পুত্র
অধ্যায়- ১৮ সন্তানের প্রতি পিতামাতার দায়িত্ব
পর্ব- ২০ঃ- পর্দা
অধ্যায়- ১ পর্দার গুরুত্ব ও বিধান
অধ্যায়- ২ বৃদ্ধা মহিলার পর্দা
অধ্যায়- ৩ নারীর পর্দা রক্ষায় পুরুষদের ভূমিকা
পর্ব- ২১ঃ- নারীর মর্যাদা
অধ্যায়- ১ ইসলাম নারীকে মর্যাদা দিয়েছে
অধ্যায়- ২ আদর্শ নারীর দৃষ্টান্ত
পর্ব- ২২ঃ- পারস্পরিক সম্পর্ক ও সদ্ব্যবহার
অধ্যায়- ১ পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার
অধ্যায়- ৩ পিতার চেয়ে মায়ের হক বেশি
অধ্যায়- ৪ মাতা-পিতার প্রতি আনুগত্যের সীমারেখা
অধ্যায়- ৫ আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার
অধ্যায়- ৬ আত্মীয়তা রক্ষার সীমারেখা
অধ্যায়- ৭ উত্তরাধিকার আইন
অধ্যায়- ৮ মিরাস বণ্টনের নিয়ম
অধ্যায়- ৯ অসিয়ত
অধ্যায়- ১০ ইয়াতীম
অধ্যায়- ১১ মুসাফির
অধ্যায়- ১২ ফকীর-মিসকীন
পর্ব- ২৩ঃ- সামাজিক দায়িত্ব ও শিষ্টাচার
অধ্যায়- ১ বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা
অধ্যায়- ২ সালাম দেয়া
অধ্যায়- ৩ অনুমতি চাওয়া
অধ্যায়- ৪ আমানতের হেফাজত করা
অধ্যায়- ৫ ওয়াদা পালন করা
অধ্যায়- ৬ পরস্পরের বিবাদ মীমাংসা করা
অধ্যায়- ৭ সঠিকভাবে সাক্ষ্য দান
অধ্যায়- ৮ ন্যায়বিচার করা
অধ্যায়- ৯ পরামর্শ করা
অধ্যায়- ১০ সামাজিক শান্তি বজায় রাখার উপায়
পর্ব- ২৪ঃ- উত্তম গুণাবলি
অধ্যায়- ১ দৃষ্টি ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করা
অধ্যায়- ২ যবানের হেফাজত করা
অধ্যায়- ৩ অনর্থক বিষয়াবলি থেকে দূরে থাকা
অধ্যায়- ৪ আত্মশুদ্ধি অর্জন করা
অধ্যায়- ৫ ইখলাস বা একনিষ্ঠতা
অধ্যায়- ৬ বিনয় ও নম্রতা
অধ্যায়- ৭ আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা
অধ্যায়- ৮ আল্লাহর ওপর ভরসা
অধ্যায়- ৯ অনুগত থাকা
অধ্যায়- ১০ মান্নত পূর্ণ করা
অধ্যায়- ১১ শপথ পূর্ণ করা
পর্ব- ২৫ঃ- আল্লাহর পথে দান
অধ্যায়- ১ দানের গুরুত্ব ও ফযীলত
অধ্যায়- ২ দান করার পদ্ধতি
অধ্যায়- ৩ কাদেরকে দান করতে হবে
অধ্যায়- ৪ দান না করার পরিণাম
পর্ব- ২৬ঃ- তাক্বওয়া
অধ্যায়- ১ তাক্বওয়ার গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ সকল নবীই তাক্বওয়া অর্জনের দাওয়াত দিয়েছেন
অধ্যায়- ৩ তাক্বওয়ার পুরস্কার
অধ্যায়- ৪ তাক্বওয়া অর্জনের উপায়
পর্ব- ২৭ঃ- সবর বা ধৈর্যধারণ
অধ্যায়- ১ সবরের গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ ধৈর্যধারণের ক্ষেত্রসমূহ
অধ্যায়- ৩ ধৈর্যধারণের ফলাফল
পর্ব- ২৮ঃ- আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া
অধ্যায়- ১ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার
অধ্যায়- ২ আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপনের কারণ
অধ্যায়- ৩ শুকরিয়া আদায়
অধ্যায়- ৪ শুকরিয়া আদায়ের উপকারিতা
পর্ব- ২৯ঃ- আল্লাহর যিকির
অধ্যায়- ১ যিকিরের গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ যিকির করার পদ্ধতি
অধ্যায়- ৩ যিকিরের ফযীলত ও উপকারিতা
অধ্যায়- ৪ যিকির না করার পরিণাম
অধ্যায়- ৫ তাসবীহ পাঠ করা
অধ্যায়- ৬ তাফাক্কুর বা চিন্তা-ভাবনা করা
পর্ব- ৩০ঃ- তাওবা-ইস্তেগফার
অধ্যায়- ১ তাওবার গুরুত্ব
অধ্যায়- ২ তাওবা করার নিয়ম
অধ্যায়- ৩ তাওবা না করার পরিণাম
অধ্যায়- ৪ তাওবা করার উপকারিতা
অধ্যায়- ৫ ইস্তেগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনা
অধ্যায়- ৬ আল্লাহ যাদেরকে ক্ষমা করেন
অধ্যায়- ৭ যাদেরকে ক্ষমা করা হয় না
অধ্যায়- ৮ দু‘আ করা
অধ্যায়- ৯ কতিপয় দু‘আ
অধ্যায়- ১০ মুমিনের আরো কতিপয় করণীয় কাজ
অধ্যায়- ১১ মুমিনের কতিপয় বর্জণীয় কাজ
পর্ব- ৩১ঃ- কুফর
অধ্যায়- ১ কুফরের তাৎপর্য
অধ্যায়- ২ কুফরী কার্যাবলি
অধ্যায়- ৩ কাফিরদের বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৪ কাফিরদের দৃষ্টান্তসমূহ
অধ্যায়- ৫ কুফরী করার পরিণাম
অধ্যায়- ৬ কাফিরদের ব্যাপারে মুসলিমদের করণীয়
পর্ব- ৩২ঃ- শিরক
অধ্যায়- ১ শিরক থেকে বেঁচে থাকা
অধ্যায়- ২ শিরকের ভিত্তি
অধ্যায়- ৩ আল্লাহর সাথে কারো অংশীদারিত্ব নেই
অধ্যায়- ৪ মানুষ নানাভাবে শিরকের মধ্যে ডুবে আছে
অধ্যায়- ৫ শিরকে লিপ্ত হওয়ার কারণ
অধ্যায়- ৬ শরীকদের প্রকৃত অবস্থা
অধ্যায়- ৭ উদাহরণের মাধ্যমে শিরক খণ্ডন
অধ্যায়- ৮ শিরকের বিরুদ্ধে আল্লাহর যুক্তি
অধ্যায়- ৯ মুশরিকদের আচরণ ও বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ১০ মুশরিকদের ব্যাপারে করণীয়
অধ্যায়- ১১ শিরকের ভয়াবহ পরিণতি
পর্ব- ৩৩ঃ- মুনাফিকী
অধ্যায়- ১ মুনাফিকদের পরিচয় ও তাদের আচরণ
অধ্যায়- ২ মুনাফিকদের কার্যক্রম
অধ্যায়- ৩ মুনাফিকদের সাথে মুসলিমদের করণীয়
অধ্যায়- ৪ মুনাফিকদের পরিণাম
পর্ব- ৩৪ঃ- যুলুম বা অবিচার
অধ্যায়- ১ যুলুমের পরিচয়
অধ্যায়- ২ সবচেয়ে বড় যালিম কারা
অধ্যায়- ৩ যালিমদের পরিণতি
অধ্যায়- ৪ যালিমদের ব্যাপারে করণীয়
পর্ব- ৩৫ঃ- বিভিন্ন ধরণের অপরাধ
অধ্যায়- ১ ইরতেদাদ বা ধর্মত্যাগ
অধ্যায়- ২ ফাসিকী কার্যাবলি ও এর পরিণাম
অধ্যায়- ৩ ফাসাদ বা বিপর্যয় সৃষ্টি করা
অধ্যায়- ৪ সন্তান হত্যা করা
অধ্যায়- ৫ মানুষ হত্যা করা
অধ্যায়- ৬ যিনা করা
অধ্যায়- ৭ যিনার শাস্তি
অধ্যায়- ৮ সুদ খাওয়া
অধ্যায়- ৯ সুদখোরের পরিণাম
অধ্যায়- ১০ মদ্যপান ও জুয়া খেলা
অধ্যায়- ১১ অহংকার করা
অধ্যায়- ১২ মিথ্যা বলা
অধ্যায়- ১৩ কৃপণতা করা
অধ্যায়- ১৪ আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া
অধ্যায়- ১৫ অকৃতজ্ঞ হওয়া
অধ্যায়- ১৬ নাফস বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করা
অধ্যায়- ১৭ ভুল ধারণা
অধ্যায়- ১৮ ঝগড়া-বিবাদ করা
অধ্যায়- ১৯ প্রতারণা ও চক্রান্ত
অধ্যায়- ২০ উপহাস ও ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা
অধ্যায়- ২১ হিংসা-বিদ্বেষ
অধ্যায়- ২২ শত্র“তা
পর্ব- ৩৬ঃ- সৃষ্টিজগত
অধ্যায়- ১ আল্লাহর রয়েছে অসংখ্য সৃষ্টি
অধ্যায়- ২ পৃথিবী
অধ্যায়- ৩ আকাশ
অধ্যায়- ৪ আসমান-জমিনের সামষ্টিক আলোচনা
অধ্যায়- ৫ পাহাড়
অধ্যায়- ৬ চন্দ্র ও সূর্য
অধ্যায়- ৭ বাতাস ও মেঘ
অধ্যায়- ৮ সাগর
অধ্যায়- ৯ পানি
অধ্যায়- ১০ উদ্ভিদ
অধ্যায়- ১১ দিবা-রাত্রি
অধ্যায়- ১২ ঘুম
অধ্যায়- ১৩ প্রাণী
অধ্যায়- ১৪ প্রাণীর উপকারিতা
পর্ব- ৩৭ঃ- ফেরেশতা
অধ্যায়- ১ ফেরেশতাদের কার্যাবলি
অধ্যায়- ২ ফেরেশতাদের ব্যাপারে ভুল ধারণা
অধ্যায়- ৩ ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান
পর্ব- ৩৮ঃ- জিন
অধ্যায়- ১ জিন জাতির পরিচয়
অধ্যায়- ২ জিনদের কুরআন শ্রবণ ও এর প্রতিক্রিয়া
পর্ব- ৩৯ঃ- শয়তান
অধ্যায়- ১ শয়তানের কার্যকলাপ
অধ্যায়- ২ শয়তান যাদেরকে বিভ্রান্ত করে
অধ্যায়- ৩ শয়তানের বিরুদ্ধে মুমিনের করণীয়
অধ্যায়- ৪ শয়তানের ব্যাপারে আল্লাহর সতর্কবাণী
অধ্যায়- ৫ শয়তানের অনুসরণ করার পরিণাম
পর্ব- ৪০ঃ- মানুষ
অধ্যায়- ১ মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়
অধ্যায়- ২ মানুষের বিশেষত্ব ও মর্যাদা
অধ্যায়- ৩ মানুষের সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৪ মানুষের কিছু ভুল ধারণা
অধ্যায়- ৫ মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ৬ মানুষ এ দুনিয়াতে পরীক্ষার্থী
পর্ব- ৪১ঃ- মানুষের কার্যক্রম
অধ্যায়- ১ মানুষের প্রকারভেদ ও তাদের কার্যাবলি
অধ্যায়- ২ পাপ ও পুণ্যের ফলাফল সমান নয়
অধ্যায়- ৩ সৎকাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায়- ৪ সৎকর্ম না করার পরিণাম
অধ্যায়- ৫ ভালো কাজের উপকারিতা
অধ্যায়- ৬ পাপকাজ ও তার পরিণাম
অধ্যায়- ৭ দুনিয়াতে পাপের পরিণাম
অধ্যায়- ৮ যে সকল আযাব দুনিয়াতে এসেছিল
অধ্যায়- ৯ আসমানী আযাবের বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ১০ আখিরাতে পাপের পরিণাম
অধ্যায়- ১১ যে সকল পাপের কারণে আমল নষ্ট হয়ে যায়
পর্ব- ৪২ঃ- দুনিয়ার জীবন
অধ্যায়- ১ দুনিয়ার জীবনের তাৎপর্য
অধ্যায়- ২ ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততি
অধ্যায়- ৩ ধনসম্পদের ফিতনা
অধ্যায়- ৪ যারা সম্পদ পেয়ে গর্ব করে তাদের জন্য কারূনের দৃষ্টান্ত
অধ্যায়- ৫ আল্লাহর সতর্কবাণী
অধ্যায়- ৬ প্রকৃত সাফল্য অর্জনের উপায়
অধ্যায়- ৭ যারা দুনিয়া-আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
পর্ব- ৪৩ঃ- আখিরাত
অধ্যায়- ১ আখিরাতের বাস্তবতা
অধ্যায়- ২ আখিরাতের প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায়- ৩ আখিরাত বিশ্বাসের উপকারিতা
অধ্যায়- ৪ আখিরাত বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মানুষের ভুল ধারণা
অধ্যায়- ৫ আখিরাত বিশ্বাস না করার পরিণাম
অধ্যায়- ৬ আখিরাত বিশ্বাস না করার যুক্তি ও এর জবাব
অধ্যায়- ৭ আখিরাতের পক্ষে যুক্তি-প্রমাণ
অধ্যায়- ৮ মৃত্যু
অধ্যায়- ৯ আলমে র্বাযাখ বা কবর
পর্ব- ৪৪ঃ- কিয়ামত
অধ্যায়- ১ কিয়ামত অবশ্যই আসবে
অধ্যায়- ২ কিয়ামত দিবসের বিভিন্ন নামসমূহ
অধ্যায়- ৩ কিয়ামতের ভয়াবহতা
অধ্যায়- ৪ কিয়ামতের দিন আকাশের অবস্থা
অধ্যায়- ৫ কিয়ামতের দিন চন্দ্র-সূর্য ও তারকারাজির অবস্থা
অধ্যায়- ৬ কিয়ামতের দিন সাগর ও পাহাড়ের অবস্থা
অধ্যায়- ৭ কিয়ামতের দিন পৃথিবীর অবস্থা
অধ্যায়- ৮ কিয়াতের দিন দুনিয়ার জীবনের অনুমান
পর্ব- ৪৫ঃ- কিয়ামতে মানুষের অবস্থা
অধ্যায়- ১ কিয়ামতের দিন মানুষের অবস্থা হবে করুন
অধ্যায়- ২ কিয়ামতের দিন মুমিনদের অবস্থা
অধ্যায়- ৩ কিয়ামতের দিন পাপীদের অবস্থা
অধ্যায়- ৪ আদালত কায়েম হবে
অধ্যায়- ৫ হিসাব-নিকাশের কাজ শুরু হবে
অধ্যায়- ৬ অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দাঁড় করানো হবে
অধ্যায়- ৭ আমলনামা হাজির করা হবে
অধ্যায়- ৮ যাদের আমলনামা ডান হাতে আসবে
অধ্যায়- ৯ যাদের আমলনামা বাম হাতে দেয়া হবে
অধ্যায়- ১০ আমল ওজন করা হবে
অধ্যায়- ১১ কিয়ামতের দিন সঠিক বিচার হবে
অধ্যায়- ১২ হাশরের ময়দানে শয়তান ও পাপীদের মধ্যে বিতর্ক
অধ্যায়- ১৩ হাশরের ময়দানে নেতা ও অনুসারীদের মধ্যে বিতর্ক
অধ্যায়- ১৪ শাফা‘আত
অধ্যায়- ১৫ সেদিন কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না
অধ্যায়- ১৬ অপরাধীদের শেষ পরিণতি
অধ্যায়- ১৭ হাশরবাসীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ভাষণ
অধ্যায়- ১৮ সবাই চিরস্থায়ী ঠিকানায় প্রবেশ করবে
অধ্যায়- ১৯ পরকাল সম্পর্কে আল্লাহর সতর্কবাণী
পর্ব- ৪৬ঃ- জান্নাতের বর্ণনা
অধ্যায়- ১ জান্নাত সত্য
অধ্যায়- ২ জান্নাতের সংখ্যা
অধ্যায়- ৩ জান্নাতের প্রাসাদ
অধ্যায়- ৪ জান্নাতের ফলমূল
অধ্যায়- ৫ জান্নাতের নদ‐নদী ও ঝর্ণাধারা
অধ্যায়- ৬ জান্নাতের তৈজসপত্র
অধ্যায়- ৭ জান্নাতের শরবত ও তার বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৮ জান্নাতের গোশত
অধ্যায়- ৯ জান্নাতের পোশাক ও অলংকার
অধ্যায়- ১০ জান্নাতের আসন ও বিছানা
অধ্যায়- ১১ জান্নাতের রমণী এবং তাদের বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ১২ জান্নাতের সেবক
অধ্যায়- ১৩ জান্নাতীদের বিভিন্ন দল এবং কাতার
অধ্যায়- ১৪ জান্নাতীদের অভ্যর্থনা ও সালাম
অধ্যায়- ১৫ জান্নাতীদের প্রশংসা
অধ্যায়- ১৬ জান্নাতীরা দুনিয়ার জীবনকে স্মরণ করবে
অধ্যায়- ১৭ জান্নাতীদের সকল বাসনা পূর্ণ হবে
অধ্যায়- ১৮ জান্নাতীরা চিরস্থায়ী হবে
অধ্যায়- ১৯ জান্নাতীরা আল্লাহর দর্শন লাভ করবে
অধ্যায়- ২০ জান্নাতীদের গুণাবলি
পর্ব- ৪৭ঃ- জাহান্নামের বিবরণ
অধ্যায়- ১ জাহান্নাম শাস্তির জায়গা
অধ্যায়- ২ জাহান্নামের ফেরেশতা
অধ্যায়- ৩ জাহান্নামের বিভিন্ন স্থান ও স্তর
অধ্যায়- ৪ জাহান্নামের আযাবের বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৫ জাহান্নামের ইন্ধন
অধ্যায়- ৬ জাহান্নামের আগুনের বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়- ৭ জাহান্নামের গরম পানি ও পোশাক
অধ্যায়- ৮ জাহান্নামের খাদ্য
অধ্যায়- ৯ জাহান্নামের পানীয়
অধ্যায়- ১০ জাহান্নামের শিকল ও বেড়ি
অধ্যায়- ১১ জাহান্নামে প্রবেশের অবস্থা
অধ্যায়- ১২ একদল অপর দলকে ধিক্কার দেবে
অধ্যায়- ১৩ কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারবে না
অধ্যায়- ১৪ জাহান্নামীদের শেষ পরিণতি
অধ্যায়- ১৫ যেসব কারণে মানুষ জাহান্নামে যাবে
পর্ব- ৪৮ঃ- পূর্ববর্তী জাতির ইতিহাস
অধ্যায়- ১ পৃথিবীতে অনেক জাতি অতীত হয়েছে
অধ্যায়- ২ মেয়াদ শেষে প্রত্যেককেই ধ্বংস করা হয়েছে
অধ্যায়- ৩ নূহ (আঃ) এর পরের এক জাতির ধ্বংসের কাহিনী
অধ্যায়- ৪ সাবা জাতির ধ্বংসের কাহিনী
অধ্যায়- ৫ ইনতাকিয়াবাসীর ধ্বংসের কাহিনী
অধ্যায়- ৬ আবরাহার হস্তী বাহিনীর ধ্বংসের কাহিনী
অধ্যায়- ৭ বনী ইসরাঈল ও তাদের প্রতি আল্লাহর নিয়ামত
অধ্যায়- ৮ বনী ইসরাঈলদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ
অধ্যায়- ৯ আহলে কিতাব
অধ্যায়- ১০ আহলে কিতাবের অসৎলোকদের চরিত্র
অধ্যায়- ১১ আহলে কিতাবের ব্যাপারে মুসলিমদের করণীয়
অধ্যায়- ১২ ইয়াহুদিদের আচরণ ও তাদের ভুল ধারণা
অধ্যায়- ১৩ ইয়াহুদি আলিমদের চরিত্র
অধ্যায়- ১৪ ইয়াহুদিদের পরিণাম
অধ্যায়- ১৫ খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস
পর্ব- ৪৯ঃ- নবী-রাসূলগণের ইতিহাস
অধ্যায়- ১ নবী-রাসূলগণকে পাঠানোর উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ২ নবী-রাসূলগণকে কিতাব ও মু‘জিযা দেয়া হয়
অধ্যায়- ৩ নবী-রাসূলগণের মর্যাদা
অধ্যায়- ৪ নবী-রাসূলগণের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি
অধ্যায়- ৫ রাসূলগণের সাথে তাদের জাতির ব্যবহার
অধ্যায়- ৬ নবীদের প্রতি ঈমান আনয়ন
১. আদম (আঃ)
অধ্যায়- ১ সৃষ্টির পূর্বে ফেরেশতাদের সাথে আলোচনা
অধ্যায়- ২ জান্নাতে বসবাস
অধ্যায়- ৩ পৃথিবীতে অবতরণ
২. নূহ (আঃ)
অধ্যায়- ১ নূহ (আঃ) এর জাতির কার্যকলাপ
অধ্যায়- ২ নবীর দাওয়াত প্রদান
অধ্যায়- ৩ নবীর সাথে জাতির আচরণ
অধ্যায়- ৪ বার বার জাতিকে বুঝানোর প্রচেষ্টা
অধ্যায়- ৫ আযাবের সতর্কবাণী
অধ্যায়- ৬ আল্লাহর কাছে নূহ (আঃ) এর ফরিয়াদ
অধ্যায়- ৭ নূহ (আঃ) এর নৌকা তৈরি
অধ্যায়- ৮ বন্যার মাধ্যমে জাতি ধ্বংস হলো
অধ্যায়- ৯ এ ঘটনায় পরবর্তীদের জন্য রয়েছে শিক্ষা
৩. ইদ্রীস (আঃ)
৪. হুদ (আঃ)
অধ্যায়- ১ আদ জাতির পরিচয়
অধ্যায়- ২ আদ জাতির কার্যকলাপ
অধ্যায়- ৩ নবীর দাওয়াত ও জাতির আচরণ
অধ্যায়- ৪ নবী জাতিকে ভালোভাবে বুঝালেন
অধ্যায়- ৫ ঈমান না আনায় জাতির লোকেরা ধ্বংস হলো
৫. সালেহ (আঃ)
অধ্যায়- ১ সামূদ জাতির পরিচয়
অধ্যায়- ২ নবীর দাওয়াত প্রদান
অধ্যায়- ৩ নবীর সাথে জাতির আচরণ
অধ্যায়- ৪ নবী ভালোভাবে বুঝালেন ও মু‘জিযা দেখালেন
অধ্যায়- ৫ জাতির অধিকাংশ লোকই নবীর কথা শুনেনি
অধ্যায়- ৬ সামূদ জাতিকে ভূমিকম্প দিয়ে ধ্বংস করা হলো
অধ্যায়- ৭ নবী ও মুমিনদেরকে বাঁচানো হলো
৬. ইবরাহীম (আঃ)
অধ্যায়- ১ ইবরাহীম (আঃ) এর মর্যাদা
অধ্যায়- ২ ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক কা‘বাঘর নির্মাণ
অধ্যায়- ৩ আল্লাহর সন্ধানে ইবরাহীম (আঃ)
অধ্যায়- ৪ ইবরাহীম (আঃ) এর আকীদা‐বিশ্বাস
অধ্যায়- ৫ ইবরাহীম (আঃ) এর দু‘আ
অধ্যায়- ৬ ইবরাহীম (আঃ) এর কাছে ফেরেশতা আগমনের ঘটনা
অধ্যায়- ৭ ইবরাহীম (আঃ) এর মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা
অধ্যায়- ৮ ইবরাহীম (আঃ) এর দাওয়াত
অধ্যায়- ৯ মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে ইবরাহীম (আঃ) এর যুক্তি
অধ্যায়- ১০ পিতাকে দাওয়াত প্রদান
অধ্যায়- ১১ ইবরাহীম (আঃ) এর হিজরত
৭. লূত (আঃ)
অধ্যায়- ১ লূত (আঃ) এর পরিচয়
অধ্যায়- ২ লূত (আঃ) এর জাতির অভ্যাস
অধ্যায়- ৩ নবীর দাওয়াত
অধ্যায়- ৪ নবীর সাথে জাতির আচরণ
অধ্যায়- ৫ নবীর ফরিয়াদ ও ফেরেশতাদের আগমন
অধ্যায়- ৬ নবী ও মুমিনরা মুক্তি পেলেন
অধ্যায়- ৭ জাতি ধ্বংস হলো
৮. ইসমাঈল (আঃ)
অধ্যায়- ১ ইসমাঈল (আঃ) এর পরিচয়
অধ্যায়- ২ কুরবানীর ঘটনা
অধ্যায়- ৩ ইসমাঈল (আঃ) এর মর্যাদা
৯. ইসহাক (আঃ)
১০. ইয়াকূব (আঃ)
১১. ইউসুফ (আঃ)
অধ্যায়- ১ বহু শিক্ষণীয় সুন্দর কাহিনী
অধ্যায়- ২ ইউসুফ (আঃ) এর স্বপ্ন
অধ্যায়- ৩ ইউসুফ (আঃ) এর সাথে ভাইদের শত্র“তা
অধ্যায়- ৪ ইউসুফ (আঃ) কে কূপে নিক্ষেপ
অধ্যায়- ৫ কূপ থেকে উদ্ধার
অধ্যায়- ৬ ইউসুফ (আঃ) এর সাথে জুলায়খার আচরণ
অধ্যায়- ৭ ইউসুফ (আঃ) কে জেলখানায় প্রেরণ
অধ্যায়- ৮ জেলখানায় দাওয়াতী কাজ
অধ্যায়- ৯ বাদশার স্বপ্ন ও ইউসুফ (আঃ) এর ব্যাখ্যা প্রদান
অধ্যায়- ১০ ইউসুফ (আঃ) এর কারামুক্তি ও রাষ্ট্রীয় সম্মান লাভ
অধ্যায়- ১১ অন্যান্য ভাইদের মিসরে গমন
অধ্যায়- ১২ ছোট ভাইকে কাছে রাখার কৌশল
অধ্যায়- ১৩ ইয়াকূব (আঃ) এর কান্নাকাটি
অধ্যায়- ১৪ ভাইদের ভুল স্বীকার ও ইউসুফ (আঃ) এর ক্ষমা ঘোষণা
অধ্যায়- ১৫ ইউসুফ (আঃ) এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন
১২. আইয়ূব (আঃ)
১৩. শুয়াইব (আঃ)
অধ্যায়- ১ আইকাবাসীর কুকর্ম ও নবীর দাওয়াত
অধ্যায়- ২ শুয়াইব (আঃ) এর সাথে জাতির আচরণ
অধ্যায়- ৩ মাদইয়ানবাসীর পাপাচারিতা
অধ্যায়- ৪ নবীর সাথে জাতির আচরণ
অধ্যায়- ৫ মাদইয়ানবাসীর ধ্বংস
১৪-১৫. মূসা ও হারূন (আঃ)
অধ্যায়- ১ মূসা ও হারূন (আঃ)‐এর পরিচিতি
অধ্যায়- ২ মূসা (আঃ) এর বিশেষত্ব ও মর্যাদা
অধ্যায়- ৩ মূসা (আঃ) এর বাল্যজীবন
অধ্যায়- ৪ কিবতি হত্যার ঘটনা
অধ্যায়- ৫ মূসা (আঃ) এর হিজরত
অধ্যায়- ৬ মূসা (আঃ) এর বিবাহ
অধ্যায়- ৭ মূসা (আঃ) এর নবুওয়াত লাভ
অধ্যায়- ৮ মূসা (আঃ) এর প্রতি প্রদত্ত ৯টি নিদর্শন
অধ্যায়- ৯ যাদুর মুকাবিলায় মূসা (আঃ) এর মু‘জিযা
অধ্যায়- ১০ মূসা (আঃ) কে ফিরাউনের কাছে প্রেরণ
অধ্যায়- ১১ হারূন (আঃ) কে সহযোগী বানানোর আবেদন
অধ্যায়- ১২ ফিরাউন ও তার জাতির অভ্যাস
অধ্যায়- ১৩ দু’নবীকে ফিরাউনের কাছে প্রেরণ
অধ্যায়- ১৪ ফিরাউনকে মূসা (আঃ) এর দাওয়াত প্রদান
অধ্যায়- ১৫ মূসা (আঃ) ও ফিরাউনের মধ্যে কথোপকথন
অধ্যায়- ১৬ মূসা (আঃ) ও ফিরাউনের মধ্যে যাদুর প্রতিযোগিতা
অধ্যায়- ১৭ যাদুকরদের ইসলাম গ্রহণ
অধ্যায়- ১৮ মুসলিমদের ওপর ফিরাউনের নির্যাতন
অধ্যায়- ১৯ মূসা (আঃ) এর পক্ষের এক মুমিন ব্যক্তির দাওয়াত
অধ্যায়- ২০ মূসা (আঃ) ও তাঁর অনুসারীদের মিসর ত্যাগ
অধ্যায়- ২১ ফিরাউনের ভরাডুবি
অধ্যায়- ২২ ফিরাউনের লাশ সংরক্ষণ
অধ্যায়- ২৩ মূসা (আঃ) এর সামুদ্রিক সফরের ঘটনা
অধ্যায়- ২৪ খিজির (আঃ) ঘটনাগুলোর আসল ভেদ বলে দিলেন
অধ্যায়- ২৫ মূসা (আঃ) এর হিজরতের পরবর্তী ইতিহাস
অধ্যায়- ২৬ মূসা (আঃ) এর সাথে বনী ইসরাঈলদের আচরণ
অধ্যায়- ২৭ জাতির উদ্দেশ্যে মূসা (আঃ) এর ভাষণ
অধ্যায়- ২৮ গাভী যবেহ করার ঘটনা
অধ্যায়- ২৯ ফিলিস্তিন বিজয় সংক্রান্ত ঘটনা
অধ্যায়- ৩০ শামঊন (আঃ) ও বনী ইসরাঈল
১৬. ইউনুস (আঃ)
১৭. দাউদ (আঃ)
অধ্যায়- ১ দাউদ (আঃ) এর পরিচয়
অধ্যায়- ২ দাউদ (আঃ) এর মু‘জিযা
অধ্যায়- ৩ দাউদ (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
অধ্যায়- ৪ দাউদ (আঃ) এর পরীক্ষামূলক একটি ঘটনা
১৮. সুলায়মান (আঃ)
অধ্যায়- ১ সুলায়মান (আঃ) এর পরিচয়
অধ্যায়- ২ সুলায়মান (আঃ) এর মু‘জিযা
অধ্যায়- ৩ সুলায়মান (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
অধ্যায়- ৪ হুদহুদ পাখী ও বিলকিস সংক্রান্ত ঘটনা
১৯. ইলয়াস (আঃ)
২০. আল ইয়াসা (আঃ)
২১. যুলকিফল (আঃ)
২২. যাকারিয়া (আঃ)
২৩. ইয়াহিয়া (আঃ)
২৪. ঈসা (আঃ)
অধ্যায়- ১ ঈসা (আঃ) এর মায়ের পরিচয়
অধ্যায়- ২ ঈসা (আঃ) এর জন্মের ইতিহাস
অধ্যায়- ৩ ঈসা (আঃ) এর গুণাবলি
অধ্যায়- ৪ ঈসা (আঃ) এর মু‘জিযা
অধ্যায়- ৫ ঈসা (আঃ) এর দাওয়াত ও জাতির আচরণ
অধ্যায়- ৬ ঈসা (আঃ) এর সাথিদের বর্ণনা
অধ্যায়- ৭ ঈসা (আঃ) সম্পর্কে সঠিক ধারণা
অধ্যায়- ৮ ঈসা (আঃ) এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
২৫. বিশ্বনবী মুহাম্মাদ
অধ্যায়- ১ মুহাম্মাদ ؓ সর্বশেষ নবী
অধ্যায়- ২ মুহাম্মাদ ؓ কে পাঠানোর উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ৩ মুহাম্মাদ ؓ এর সার্বজনীনতা
অধ্যায়- ৪ মুহাম্মাদ ؓ এর নবুওয়াত লাভ
অধ্যায়- ৫ মুহাম্মাদ ؓ এর নবুওয়াতের সত্যতার প্রমাণ
অধ্যায়- ৬ মুহাম্মাদ ؓ এর চারিত্রিক গুণাবলি
অধ্যায়- ৭ মুহাম্মাদ ؓ এর মর্যাদা
অধ্যায়- ৮ মুহাম্মাদ ؓ এর মে‘রাজ
অধ্যায়- ৯ মুহাম্মাদ ؓ এর ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ
অধ্যায়- ১০ নবী ؓ এর সাথে ভদ্র আচরণের প্রশিক্ষণ
অধ্যায়- ১১ মুহাম্মাদ ؓ এর পারিবারিক অবস্থা
অধ্যায়- ১২ মুহাম্মাদ ؓ এর উম্মতের মর্যাদা
অধ্যায়- ১৩ মুহাম্মাদ ؓ এর আনুগত্য করার গুরুত্ব
অধ্যায়- ১৪ নবী ؓ এর অনুসরণ না করার পরিণাম
অধ্যায়- ১৫ মুহাম্মাদ ؓ সম্পর্কে সঠিক ধারণা
অধ্যায়- ১৬ মুহাম্মাদ ؓ এর সীমাবদ্ধতা
অধ্যায়- ১৭ নবী ؓ এর প্রতি আল্লাহর প্রাথমিক অনুগ্রহ ও নির্দেশাবলি
অধ্যায়- ১৮ মুহাম্মাদ ؓ এর প্রতি আল্লাহর উপদেশবাণী
অধ্যায়- ১৯ মক্কার কাফিরদের বৈশিষ্ট্য ও আচরণ
অধ্যায়- ২০ নবী ؓ এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের জবাব
অধ্যায়- ২১ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশল
অধ্যায়- ২২ মুহাম্মাদ ؓ কে আল্লাহর সান্ত্বনা
অধ্যায়- ২৩ নবী ؓ এর বিরোধীদের প্রতি সতর্কবাণী
অধ্যায়- ২৪ নবী ؓ এর দুশমনদের পরিণাম
অধ্যায়- ২৫ বদরের যুদ্ধ
অধ্যায়- ২৬ যুদ্ধের কারণ
অধ্যায়- ২৭ বদর যুদ্ধে মুসলিমদের প্রস্তুতি
অধ্যায়- ২৮ মুসলিমদের ওপর আল্লাহর সাহায্য
অধ্যায়- ২৯ বদরের যুদ্ধের ফলাফল
অধ্যায়- ৩০ বনু কায়নুকার নির্বাসন
অধ্যায়- ৩১ ওহুদ যুদ্ধের কারণ
অধ্যায়- ৩২ ওহুদ যুদ্ধ
অধ্যায়- ৩৩ ওহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের ক্ষয়-ক্ষতির কারণ
অধ্যায়- ৩৪ মুসলিমদের প্রতি সান্ত্বনা ও পরামর্শ দান
অধ্যায়- ৩৫ বনু নাযীরের যুদ্ধ
অধ্যায়- ৩৬ খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ
অধ্যায়- ৩৭ আহযাবের যুদ্ধে মুনাফিকদের কর্মকাণ্ড
অধ্যায়- ৩৮ সত্যিকার মুসলিমদের ভূমিকা
অধ্যায়- ৩৯ বনু কুরাইযার যুদ্ধ
অধ্যায়- ৪০ হুদায়বিয়ার ঘটনা
অধ্যায়- ৪১ হুদায়বিয়া সফরে দুর্বল ঈমানদারদের কার্যকলাপ
অধ্যায়- ৪২ হুদায়বিয়া সফরের উদ্দেশ্য
অধ্যায়- ৪৩ খায়বারের অভিযান
অধ্যায়- ৪৪ মুতার যুদ্ধ
অধ্যায়- ৪৫ মক্কা বিজয়
অধ্যায়- ৪৬ হুনাইনের যুদ্ধ
অধ্যায়- ৪৭ তাবূকের যুদ্ধ
অধ্যায়- ৪৮ বিদায় হজ্জ
اَلْحَمْدُ لِهِٰ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ‐ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْنَ
‘তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন’ গ্রন্থটি প্রকাশ করতে পেরে মহান আল্ল¬াহর অগণিত শুকরিয়া আদায় করছি। অসংখ্য দরূদ ও সালাম পেশ করছি বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ؓ এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবায়ে কেরাম (রিদ্বওয়ানুল্লাহি ‘আলাইহিম আজমাঈন) এর উপর।
আল্লাহ তা‘আলা নিজ ক্ষমতায় এ বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে মানবজাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে নির্বাচিত করেছেন এবং তাদেরকে জানার, বুঝার এবং ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতাও দিয়েছেন। মানুষকে খলিফা হিসেবে নিযুক্ত করার সময় আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ) এর সকল বংশধর থেকে তাওহীদের সাক্ষ্য নিয়েছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে, একমাত্র তিনিই সকলের রব। আমাদেরকে কেবল তারই দাসত্ব করতে হবে। অন্য কারো দাসত্ব করার জন্য তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেননি।
আদম ও হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জান্নাতে বসবাস করতে দেন। পরে তাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়ার সময় আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দেন যে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদেরকে পৃথিবীতে অবস্থান করতে হবে। এখানে বসবাস করার জন্য যা কিছু লাগবে সবই তোমাদেরকে দেয়া হবে। এ পৃথিবী তোমাদের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র। পরীক্ষার সময় শেষ হলে তোমরা আবার আমার কাছে ফিরে আসবে। এ পৃথিবীতে আমার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট হেদায়াতের বাণী আসবে। যারা এ হেদায়াতের অনুসরণ করবে তারা তাদের স্থায়ী ঠিকানা জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যারা আমার দেয়া হেদায়াতের অনুসরণ করবে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে তারা চিরকাল শাস্তি ভোগ করবে।
প্রাথমিক যুগের মানুষ আল্লাহপ্রদত্ত হেদায়াতের উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাদের সকলের ধর্ম ছিল ইসলাম। তারা সবাই তাওহীদের অনুসারী ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মানুষ এ সঠিক দ্বীন থেকে সরে গেছে। তারা বিভিন্ন সত্তাকে আল্লাহর সাথে শরীক করেছে এবং বিভিন্ন মতবাদ ও ধর্ম তৈরি করেছে। পথভোলা এই মানুষগুলোকে বাধ্য করে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখার পদ্ধতি আল্লাহ গ্রহণ করেননি। কেননা তিনি মানুষকে ভালো-মন্দ দু’টিই করার স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং পরীক্ষাস্বরূপ এ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আবার মানবজাতির কাছ থেকে সংশোধনের সুযোগ কেঁড়ে নিয়ে মুহূর্তেই তাদেরকে ধ্বংস করার নীতিও তিনি গ্রহণ করেননি। বরং তিনি মানবজাতির মধ্য থেকে কিছু মানুষকে নবী ও রাসূল হিসেবে নির্বাচিত করেছেন এবং তাদের নিকট হেদায়াতের বাণী পাঠিয়েছেন। এসব নবী-রাসূল এবং তাদের অনুসারীরা সেই মূল তাওহীদের দিকে মানবজাতিকে আহ্বান করেছেন। যারা নবীদের কথা মেনেছে তারা মুক্তি পেয়েছে। আর যারা মানেনি তারা পর্যায়ক্রমে ধ্বংস হয়েছে।
শেষ পর্যায়ে আল্লাহ তা‘আলা আরব দেশে মুহাম্মাদ ؓ কে নবী হিসেবে পাঠালেন। পূর্বের নবীগণকে তিনি যে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিলেন, মুহাম্মাদ ؓ এর উপরও সেই একই দায়িত্ব অর্পণ করেন। সর্বস্তরের মানুষকে তিনি আল্লাহর দ্বীনের দিকে আহ্বান জানান। সবাইকে তাওহীদের পথ গ্রহণের দাওয়াত দেন। সবার কাছে আল্লাহর হেদায়াত পৌঁছে দেয়া এবং এ হেদায়াত গ্রহণকারীদেরকে এমন একটি উম্মতে পরিণত করা ছিল তাঁর কাজ, যারা একদিকে আল্লাহর হেদায়াতের উপর নিজেদের জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবে এবং অন্যদিকে সমগ্র দুনিয়ার সংশোধন ও সংস্কার সাধনের জন্য প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালাবে। এ দাওয়াত ও হেদায়াতের কিতাবটি হচ্ছে আল-কুরআন। মুহাম্মাদ ؓ এর উপর এ কিতাবটি অবতীর্ণ হয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত এ কিতাবটি মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত সনদ হিসেবে বহাল থাকবে।
কুরআনই হেদায়াত লাভের মূল উৎস :
কুরআনের হেদায়াতই হচ্ছে আসল হেদায়াত। রাসূলুল্লাহ ؓ বলেছেন,
تَرَكْتُ فِيْكُمْ اَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوْا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهٖ
“আমি তোমাদের কাছে দু’টি জিনিস রেখে গেলাম। যতদিন পর্যন্ত তোমরা এ দু’টিকে আঁকড়ে ধরবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো, আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবীর সুন্নাত।”
আবু শুরাইহ (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ؓ আমাদের মাঝে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো। তোমরা কি এ সাক্ষ্য দাও না যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল? আমরা বললাম, হ্যাঁ। এরপর রাসূলুল্লাহ ؓ বললেন,
اِنَّ هٰذَا الْقُرْاٰنَ سَبَبٌ طَرْفُهٗ بِيَدِ اللهِ وَطَرْفُهٗ بِاَيْدِيْكُمْ فَتَمَسَّكُوْا بِهٖ فَاِنَّكُمْ لَنْ تَضِلُّوْا وَلَنْ تُهْلِكُوْا بَعْدَهٗ اَبَدًا
“এ কুরআন হলো একটি রশি। এর এক মাথা হচ্ছে আল্লাহর হাতে, আর অপর মাথা হচ্ছে তোমাদের হাতে। সুতরাং তোমরা এটাকে আঁকড়ে ধরো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না এবং ধ্বংসও হবে না।”
কুরআনের মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তীদের ইতিহাস, রয়েছে ভবিষ্যতের সংবাদ, এটা ফায়সালাদানকারী। এটাকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি অন্য কোথাও হেদায়াত অনুসন্ধান করবে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করে দেবেন। এটা আল্লাহর এক মজবুত রশি এবং জ্ঞানময় উপদেশ। আর এটাই সিরাতে মুস্তাকীম বা সোজা পথ। এর আশ্চর্যকারিতা কখনো শেষ হয় না। জ্ঞানার্জনকারীরা এর থেকে কখনো বিমুখ হয় না। এটা বার বার পাঠ করলেও বিরক্তি আসে না। জিনেরা এটা শোনার পর একথা না বলে পারেনি যে, “আমরা এমন এক আশ্চর্যজনক কুরআন শুনেছি, যা সঠিক পথের সন্ধান দেয়। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি।” যে ব্যক্তি কুরআন দিয়ে কথা বলবে সে সত্য বলবে। যে কুরআনের উপর আমল করবে সে এর প্রতিদান পাবে। যে এর মাধ্যমে বিচার করবে সে ইনসাফ করবে। যে এটাকে আঁকড়ে ধরবে সে সঠিক পথের সন্ধান পাবে।
কুরআনের হেদায়াত পেতে হলে যা করণীয় :
একজন মানুষ বড় হওয়ার সাথে সাথে তার পরিবার ও সমাজের রীতিনীতি তার উপর প্রভাব বিস্তার করে। সে তার মাতাপিতা, পরিবার ও সমাজকে যে ধর্ম, দল ও মাযহাবের অনুসারী পায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে তারই অনুসরণ করে। যার ফলে বিশেষ কোন দল বা মতের চিন্তা-চেতনার আলোকে সে তার জীবন গড়ে তুলে। এজন্য চিন্তা ও কর্মের দিক থেকে যে মানুষ যে অবস্থানে রয়েছে সে অবস্থানে অনড় থেকেই যদি সে কুরআন পড়ে, তবে কুরআনের যেসব বিষয় তার বিশ্বাস ও কর্মের সাথে মিলে না, সেগুলো সে মেনে নিতে চায় না। পরিশেষে সে কুরআনের হেদায়াত থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।
এ জন্য কুরআনকে প্রকৃত অর্থে বুঝতে হলে এবং এ থেকে হেদায়াত পেতে হলে যখনই কেউ কুরআন অধ্যয়ন শুরু করবে, তখন তাকে খোলা মন নিয়ে কুরআন অধ্যয়ন করতে হবে। কুরআন যে বিষয়ে যে রকম আকীদা পেশ করে সে রকম আকীদা নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। কুরআন যে কাজের নির্দেশ দেয় তা পালন করতে হবে; আর যে কাজ করতে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনটি করতে পারলে যে কেউ কুরআন থেকে হেদায়াত পাবে এবং কুরআনের আলোকে তার জীবন গড়ে ওঠবে। কিন্তু যারা নিজেদের চিন্তা ও কর্মকে পরিবর্তন করে কুরআনের আলোকে গড়ে তুলতে চায় না; বরং কুরআনকে নিজেদের চিন্তা ও কর্মের আলোকে পরিবর্তন করতে চায়, তারা কখনো কুরআনের হেদায়াত পায় না। কুরআন পড়া সত্ত্বেও তারা গোমরাহীর দিকে এগিয়ে যায়।
কুরআনের মূল লক্ষ্য :
কুরআনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও বক্তব্য হচ্ছে, মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মনীতি অবলম্বনের প্রতি আহ্বান জানানো। আল্লাহর হেদায়াতকে স্পষ্টভাবে মানবজাতির সামনে তুলে ধরা। কিসের মধ্যে মানুষের কল্যাণ ও সফলতা এবং কিসের মধ্যে তাদের অকল্যাণ ও ব্যর্থতা, সে বিষয়গুলো জানিয়ে দেয়াই হচ্ছে কুরআনের মূল লক্ষ্য।
কুরআনের আলোচ্য বিষয় :
কুরআনের মূল আলোচ্য বিষয় হলো মানুষ। মানুষ সৃষ্টির প্রক্রিয়া, পৃথিবী ও আকাশের গঠনাকৃতি, বিশ্বজগতের নিদর্শনসমূহ এবং অতীতের বিভিন্ন জাতির ঐতিহাসিক ঘটনাবলি কুরআনে আলোচনা করা হয়েছে। কুরআনে বিভিন্ন জাতির আকীদা-বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণা দূর করা এবং যথার্থ সত্যটি মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে দেয়াই এর উদ্দেশ্য। এ কারণেই এতে প্রতিটি বিষয়ের আলোচনা কেবলমাত্র ততটুকুই করা হয়েছে যতটুকু আলোচনা তার মূল লক্ষ্যের জন্য প্রয়োজন। নবীদের জীবনী বর্ণনার ক্ষেত্রে মূল শিক্ষণীয় অংশটুকুই কুরআন বর্ণনা করেছে। ইবাদাত সংক্রান্ত— বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে এর মূল শিক্ষা কী এবং একেকটি ইবাদাত মানুষের মধ্যে কোন্ ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে চায়Ñ কুরআন সেদিকে ইঙ্গিত করেছে। সেই সাথে কিছু কিছু বিধানও বর্ণনা করা হয়েছে। তবে ইবাদাতের বিস্তারিত বিধান নবী ؓ এর বাস্তব শিক্ষার মাধ্যমে জানানো হয়েছে, যা হাদীস গ্রন্থগুলোতে মওজুদ রয়েছে।
সাধারণ বই ও কুরআনের মধ্যে পার্থক্য :
আমরা সাধারণত যেসব বই-পুস্তক পড়ে অভ্যস্ত এসব বই এক বা একাধিক বিষয় নিয়ে লেখা হয়ে থাকে। আবার ঐ বিষয়টি বিভিন্ন পর্ব ও অধ্যায়ে সাজানো থাকে এবং বইয়ের শুরুতে একটি বিষয়সূচী থাকে। ঐ সূচী দেখেই পাঠক তার কাক্সিক্ষত অধ্যায়টি পড়ে নিতে পারে। কিন্তু কুরআন মাজীদ এর ব্যতিক্রম। এর শুরুতে কোন বিষয়সূচী নেই। এর বক্তব্যসমূহ বিভিন্ন সূরায় বিভক্ত। এ সূরাগুলোর সূচীই কুরআনের শুরুতে রয়েছে। বিষয়কেন্দ্রিক কোন সূচী না থাকার কারণ হলোÑ কুরআন একসাথে কিতাব আকারে নাযিল হয়নি। এটি নাযিল হয়েছে ভাষণ আকারে। পরবর্তীতে এ ভাষণগুলো এক বা একাধিক ভাষণের সমন্বয়ে ১১৪টি সূরায় সন্নিবেশিত করা হয়েছে। যার ফলে একটি বিষয় সংক্রান্ত আলোচনা বিভিন্ন সূরায় কোথাও সংক্ষেপে কোথাও বিস্তারিত আকারে রয়েছে।
এজন্য যারা কুরআন অধ্যয়নের জন্য বেশি সময় দিতে পারেন না বা যারা আরবি ভাষা বুঝেন না তাদের জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য জানা কষ্টকর হয়ে যায়। একটি বিষয় সম্পর্কিত সকল আয়াত একত্র করে ঐ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা লাভ করা সম্ভব হয় না।
কেন এই তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির হেদায়াতের জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীম নাযিল করেছেন। এজন্য তিনি এ কিতাবে জীবনের সকল বিভাগের প্রতিটি মৌলিক বিষয় সম্পর্কে সর্বোত্তম দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। কুরআনের বক্তব্য বুঝার সুবিধার্থে এমন একটি গ্রন্থের অতীব প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম, যে গ্রন্থে কুরআনে বর্ণিত জ্ঞানসমূহ বিষয় আকারে সাজানো থাকবে। এতে করে সর্বস্তরের জনগণ বিভিন্ন বিষয়ে কুরআনের বিধান কীÑ তা সহজে জানতে পারবে। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি আমাকে এ বিষয়ে কিছু কাজ করার তাওফীক দান করেছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ সাধনা ও গবেষণা করার পর কুরআনের উপর একটি বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ জনগণের হাতে তুলে দিতে পেরেছি, এজন্য মালিকের নিকট অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি। আর দু‘আ করছি, তিনি যেন এ গ্রন্থের মাধ্যমে বিশ্ব-মানবতাকে উপকৃত করেন এবং কুরআনের জ্ঞান লাভ করে ইসলামী জীবন গড়ার তাওফীক দান করেন এবং এটাকে সকলের নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেনÑ আমীন॥
যেভাবে কাজটি করেছি :
ছাত্রজীবনে আমি নিজের জন্য একটি স্থায়ী রুটিন করে নিয়েছিলাম যে, প্রতিদিন দিনের কাজ শুরু করতাম কুরআনের তাফসীর পড়ার মাধ্যমে। নিয়মিত কুরআন পড়ার সময় একটি বিষয় আমাকে খুবই প্রভাবিত করত। আর তা হলো, যখন একটি সূরা পড়তে বসি তখন কোন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা আসে, পরে আবার অন্য প্রসঙ্গ চলে আসে। আরেকটু সামনে বাড়লে বা অন্য সূরায় গেলে দেখা যায় পূর্বের বিষয়টির আলোচনা আবার এসেছে। তখন থেকেই একেকটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা যেখানে পেতাম তা নোট করতাম। তারপর যখন এ বিষয়গুলো কিতাব আকারে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন একই বিষয় সংক্রান্ত আয়াতগুলো সামনে রেখে এসব আয়াত থেকে যেসব পয়েন্ট বের হয় তা লিখে পুরো বিষয়টিকে ধারাবাহিকভাবে সাজাতাম। এভাবে প্রতিটি বিষয়কে অধ্যায় আকারে সাজিয়ে গ্রন্থাকারে রূপদান করি। এ গ্রন্থটির কাজ সমাপ্ত করতে ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছর সময় লেগেছে।
যাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেই নয় :
সকল প্রশংসা মূলত আল্লাহরই। তিনি যাকে দিয়ে যে কাজ করানোর ইচ্ছা করেন তাকে দিয়ে সে কাজ করিয়ে নেন। আল্লাহ আমাকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছেন, এজন্য আমি তাঁর শুকরিয়া আদায় করছি।
আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায়ের পর আমি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তাদের মধ্যে রয়েছেনÑ
প্রথমত আমার পিতামাতা। তারা আমাকে দ্বীনের ইলিম শিক্ষা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
মাতাপিতার পর আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাজ আল্লামা ইদ্রীস আহমদ সেবনগরী সাহেবের। তিনি একজন বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ছিলেন। শেষ বয়সে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করেই ইলিম শিক্ষাদান অব্যাহত রাখেন। ১৯৯৩ সালে কানাইঘাট মনসূরিয়া কামিল মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রায় দশ বছর আমি তাঁর কাছে ইলমে দ্বীন শিক্ষা করার সুযোগ লাভ করি। পার্থিব কোন বিনিময় ছাড়াই অতি গুরুত্বের সাথে তিনি আমাকে পড়াতেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে এর উত্তম বিনিময় দান করুন। আমীন ॥
এরপর আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সহধর্মিণী মাহমুদা খাতুনের। এ গ্রন্থের পাণ্ডলিপি তৈরি এবং প্র“ফ দেখার কাজে তিনি যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন। তাছাড়া এ গ্রন্থের বিভিন্ন কাজে আমার অনেক ছাত্র পরিশ্রম করেছেন। আমি তাদের সকলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার দ্বীনি ভাই মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল সাহেবের। তিনি অনেক সুপরামর্শ ও উপায়-উপকরণ দিয়ে আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। যার ফলে আমি প্রশান্ত মনে এ গ্রন্থটির কাজ সমাপ্ত করতে পেরেছি। আল্লাহ সকলকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন ॥
কুরআনের শিক্ষাকে সহজ ও নির্ভুলভাবে তুলে ধরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। গ্র্রন্থের পাণ্ডলিপি প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন যাবৎ এর পরিমার্জন ও সংশোধনীর কাজ করা হয়েছে। তারপরও কোথাও কোন সংশোধনীর প্রয়োজন মনে হলে বা কোন পরামর্শ থাকলে তা জানানোর অনুরোধ রইল।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে কুরআন বুঝার এবং কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফীক দান করুন- যাতে আমরা দুনিয়াতে শান্তি এবং পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারি। আমীন ॥